ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫ , ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

ঈদে ঢাকাবাসীদের জন্য ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা

আপলোড সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ১১:১৭:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৯-০৩-২০২৫ ১১:১৭:১৫ অপরাহ্ন
ঈদে ঢাকাবাসীদের জন্য ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের বন্ধে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা রক্ষায় ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (১৯ মার্চ) ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে এবং ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় ডিএমপি সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পুলিশকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে অক্সিলারি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। ডিএমপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি করা গেলে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ও অপরাধ দমনে সফল হওয়া সম্ভব।

ডিএমপির পক্ষ থেকে নগরবাসীকে উদ্দেশ্য করে যেসব নির্দেশনা পালনের অনুরোধ জানানো হয়, সেগুলো হলো—

১. ঈদে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণি বিতানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তা রক্ষীদের ডিউটি জোরদার করা। যেকোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা।

২. প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত রাখা।

৩. বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে দরজা-জানালা ঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে। দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় থাকলে তা মেরামত করা।

৪. পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা এবং স্থাপিত সিসি ক্যামেরা সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. বাসা-বাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা।

৬. রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করা।

৭. অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে বা নিকটাত্মীয়ের হেফাজতে রাখা। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

৮. বাসা-বাড়ি ছাড়ার আগে যে সকল প্রতিবেশী/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী ঢাকায় অবস্থান করবেন, তাদের বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করা এবং ফোনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।

৯. বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ছাড়ার বিষয়টি অবহিত করা।

১০. বাসা-বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ, পানির ট্যাপ, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

১১. গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখা।

১২. বাসার জানালা/দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে, যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।

১৩. মহল্লা/বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করা।

১৪. ঈদে মহল্লা/বাসায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার আশঙ্কা থাকলে, তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ